বন্ধুরা.. আপনাদের অনেকের প্রিয় amraBONDHU ইয়াহু গ্রুপস আজ সামহোয়ার ইন এর পাশে। একটি অনলান গ্রুপও যে মানুষের পাশে দাড়াতে পারে [aB] সেটাই করে দেখালো.
আমরা বন্ধু ইয়াহু গ্রুপ কি?
২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে [aB]'র যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৮০০+ বাংলাদেশের মানুষকে একি সুতায় বেধে রেখেছে। কখনো হাসি... কখনো কান্না.. কখনো বা হৈচৈ... সব কিছু আমরা একত্রে শেয়ার করেছি। যে কোন কোন জাতীয় দূর্যোগে [aB]'র সদস্যরা সব সময় সামর্থের মধ্যে থেকে চেষ্টা করেছে... আর তার ই ধারাবাহিকতায় আমাদের সামর্থের হাত সামহোয়ারইন এর দিকে বাড়ালাম।
সামহোয়ারইন [aB]'র ব্লগারগন আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ।
আশা করছি অন্যান্য সংগঠন গুলোও এইভাবে এগিয়ে আসবে তাদের সামর্থের মধ্যে থেকে।
amrabondhu@yahoogroups.com
mail@amrabondhu.com
ঘুর্ণিঝড়ে বেচে যাওয়া মানুষ জন মনে করছে যারা মরে গেছে তারা আসলে বেচে গেছে। ক্ষুধার কি জ্বালা তা তাদের দেখতে হচ্ছে না। এসব অঞ্চলের এমন কোন পরিবার নেই, এই ঝড়ে যাদের কেউ মারা যায়নি। সিডর যে সব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে সেখানে ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই। লোকালয়কে বিরাণ করেছে, ফসলের মাঠ হয়ে গেছে প্যারেড গ্রাউ-। দুবলার চরের কেউ বেঁচে আছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবাই। স্মরণখোলার মানুষ প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকে কখন ত্রাণ নিয়ে আসবে।
পুরো একটা সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। ঘূর্ণি উপদ্রুত জেলাগুলোতে এখনো স্বজন হারানোর কান্নায় বাতাস ভারি। আবার নতুন করে ঘুড়ে দাড়ানোর স্বপ্ন আজ আর কেউ দেখছে না। বিভিষিকা আজ তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে উপকুল অঞ্চলের প্রতিটি মানুষকে। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এইসকল ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার করে দিয়ে গেছে।
অবস্থাটা এমন দাড়িয়েছে যে, স্বজন হারানোর শোকের চাইতে রিলিফ পাওয়াটাই অনেক বেশী জরুরী হয়ে পড়ছে। যারা বেচে আছে তাদের জীবন ধারণটাই এখন আরো কঠিন হয়ে পড়ছে। খাবার পানির সংকট তীব্র। মানুষগুলো এই পর্যন্ত এক বস্রে জীবন ধারণ করছে। ঝড়ে ভিজে যাওয়া চাল রোদে শুকিয়ে মানুষ একবেলা খেয়ে জীবন ধারণ করছে।
খালবিল-নদীগুলোতে ভাসছে গরু-ছাগল এর গলিত লাশ। মৃত পশুপাখির দূর্গন্ধে বাতাস দূষিত হয়ে উঠেছে। অপ্রতুল ত্রাণ তৎপরতার কারণে দূর্গতদের মধ্যে আহাজারি চলছে। এখনো অনেক জায়গায় বাইরের কেউ পৌছেইনি। ঢাকায় বসে যতটুকু জানতে পারছি পরিস্থিতি তার চাইতে অনেক অনেক ভয়বহ। বেড়েই চলছে লাশের সংখ্যা। উপদ্রুত এলাকায় যতবার ফোন করছি আশাব্যাঞ্জক কিছুই শুনছি না।
আর ওইদিকে... যৌথবাহিনীর ভয়ে অনেক ইউনিয়নের এমপি/চেয়ারম্যান/মেম্বার পালাতক/জেলে। জনগণের সাথে সরকারের একমাত্র সংযোগ তাই আজ বিচ্ছিন্ন। মাঠ পর্যায়ে সরকার কঠিন এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখে। তারা যতই বড় বড় বুলি ছাড়ুক পরিস্থিতি ভিন্ন। স্বজন হারা দুর্যোগ কবলিত মানুষগুলোর আমরা ছাড়া সত্যি কেউ নেই তাদের দেখার।
এখন মূল কাজ হবে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে বাচিয়ে রাখা। মানুষগুলোর মনোবলকে আবার উজ্জিবিত করে তোলাটা খুবি জরুরী। আবার ঘুড়ে দাড়ানোর স্বপ্নের বীজ তাদের মধ্যেই বপন করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু করা সম্ভব.. তাতেই চলবে। দিন না আপনার হাতটা একটু বাড়িয়ে। আপনার দেয়া কিছু টাকা... কিছু খাবার... কিছু কাপড়... ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেদের মুখে হাসি ফোটাবে
”আবার জমবে মেলা বটতালা হাট তলা”... একি সুরে গাইবার এই সুযোগটুকু এই দুঃখি মানুষগুলোকে করে দিন না ... প্লিজ
দেশের দক্ষিন উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা আজ ধ্বংসস্তুপে পরিনত। বিপর্যস্ত জনজীবন। কোথাও প্রানের চিহ্ন নেই। চরদিকে কেবল ধ্বংসযজ্ঞ। পুরোটা এলাকা জুড়ে লাশের মিছিল। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ঘন্টায় ঘন্টায়। স্বজন হারানো মানুষের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। ত্রানের আশায় ছুটছে অভূক্ত মানুষগুলো।
বন্যার করাল-গ্রাসে সহায় সম্বলের অবশিষ্ট অংশটুকু নিয়ে মানুষ যখন আবার ঘুড়ে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর ছিলো ঠিক তখনি প্রলয়ঙ্করী ঘূণীঝড় দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সেই স্বপ্নকে দুমড়ে মুচড়ে নি:স্ব করে দিলো। একটি মাত্র রাতের ব্যবধানে বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে মানুষ আজ পথে পথে। গৃহহারা হাজার হাজার পরিবার খোলা আকাশের নিচে ঠাই নিয়েছে। মাথার ওপর নেই মাথা গোঁজার এক চিলতে ছাদ। পথে পথে গবাদী পশুর মৃতদেহ । নেই বিশুদ্ধ পানি, অনেক বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে ওই অঞ্চলের শিশুরা।
এখন জরুরী প্রয়োজন:
১. খাদ্য - শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি
২. আশ্রয় - ধ্বংশ হয়ে যাওয়া কাঁচা ঘরবাড়ি মেরামতের সহযোগিতা।
৩. স্বাস্থ্য সেবা
যা করা হচ্ছে:
সরকার এর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর পাশাপাশি রেডক্রিসেন্ট তাদের বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বহিনী নিয়ে বরাবরের মতো দূর্গত মানুষের পাশে রয়েছে।
দারিদ্র পীড়িত এই জনপদের মানুষ গুলো উৎপাদনহীনতায় যখন দিন দিন নি:স্ব হয়ে পরছে, পানির লবনাক্ততায় ফসল উৎপাদন কমছে, তখন আরো একটি বিপর্যয়ে মানুষ আজ কিংকর্তব্যবিমুঢ়। মুক্ত বাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে বাজার পুরোটাই আমদানি নির্ভর করা হয়েছিল বহু আগেই। ফলশ্রতিতে নিজস্ব সম্পদ বৃদ্ধির বদলে ছোট ছোট শিল্প কারখানাকে আজ বন্ধ করে দিয়ে আমরা হয়েছি আমদানী নির্ভর। এর-ই ধারাবহিকতায় আজ দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তের জীবনে আজ নাভিশ্বাস। সাধারণ জীবন যাপনেই আপনাদের হিমশিম খেয়ে যেতে হচ্ছে।
আপনাদের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানাতে কষ্ট হয়। দেশেই তো থাকি.. বাস্তবতা ভয়াবহ।
দূর্যোগ কবলিত এই মানুষগুলো আমাদের-ই কারো ভাই.. .. কারো বোন.. .. কারো বাবা.. কারো মা.. আমরা ছাড়া তাদের আর কে আছে বলুন? ৫/৫০/১০০ যার যতটুকু সামর্থ আছে সেইটুকু নিয়েই না হয় আপনার হাতটা বাড়িয়ে দিন .. প্লিজ.. .. এই দেশটাতো আমাদেরই... চলুন না একটু অল্প খেয়ে সবাই এক সাথে বাঁচি...
বস্তাবন্দি
-
►
2009
(13)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2008
(24)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
Categories
- আমার দিনকাল (2)
- বর্ষা (2)
- বসন্ত (1)
- বৃষ্টি (2)
- ভালবাসা দিবস (1)
- মজারু (2)
- মানবতা (1)
- শরৎ কাল (1)
- সংগ্রহশালা (2)
- স্মৃতিচারণ (2)