রাহেলা জন্য একটা আইপিটিশন খোলা হয়েছে - দয়া করে লগ ইন করে সাইন করুন।

http://www.ipetitions.com/petition/Justice_for_Rahela_Bangladesh/


================

এই আমার দুই পয়সার মানুষরা যুথবদ্ধ হয়ে ভেলরীকে তার প্রাপ্য সন্মান পূনর্বহাল করার প্রচেষ্টায় একসাথে কাজ করেছি... বন্যা দুর্গতদের জন্য সামর্থ অনুযায়ী সহযোগীতা করেছি। এই আমরাই আবার সফি সামির মতো মানুষকে হটিয়ে ভেলরীকে তার স্বপদে পুনর্বহাল করেছি। আমি আবার এসেছি রাহেলার জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এক সন্ধ্যয় ধর্ষিত হয়ে খুন হয়ে যাওয়া রাহেলার কথা আপনারা সবাই জানেন। তাকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত আরিফ জেবতিকের একটি লেখাথেকে সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য দিলাম। আশাকরি বরাবরের মতো আপনাদের সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত থাকবে। আসলে মানুষে একা কিছুই নয়... সম্মিলিত শক্তি অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। আপনাদের সহযোগীতা কামনায়...

=============================================
ভীষন রকম অস্থিরতায় আছি গত দুইদিন ধরে ।এই অস্থিরতাকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না ।অফিসের কাজে মন বসছে না,বাসায় মন বসছে না, আড্ডা ভালো লাগছে না, সিগারেটের ছাই এ্যাশট্রে উপচে টেবিলে মাখামাখি হচ্ছে।এই অস্থিরতাটুকু আমি ভুলে থাকতে চাইছি প্রানপন, মুখোশ লাগিয়ে হাসতে চাইছি, বাচঁতে চাইছি আমার নিজের নিরাপদ গন্ডির ভেতর ।পারছি না,আমি পারছি না।রাত গভীরে ঘুমের মাঝে হানা দিচ্ছে একটি করুণ মুখ ।

কানের কাছে বারবার শুনতে পাই একটা কথা,"আমি মরি নাই ভাই,আমাকে বাচাঁন ।"আমি রাহেলার কথা বলছি। যে রাহেলা গভীর অন্ধকার রাতে গলাকাটা অবস্থায় শুয়ে ছিল এক ঝোপের মাঝে সেই রাহেলার কথা ।সেই রাহেলা,যে কোন অপরাধ করে নি,যে কাউকে কষ্ট দেয় নি,কিন্তু এক সন্ধ্যায় তার জীবনটা এলোমেলো করে দিল কয়েকটা পশু ।রাহেলা শুয়ে ছিল গলাকাটা অবস্থায়, রাহেলা একফোটা পানির জন্য কাতরাচ্ছিল, রাহেলা আল্লাহকে ডাকছিল সারারাত জুড়ে, তার আশেপাশে উকি দিচ্ছিল নিশাচর শেয়াল, তার গলায় কামড়াচ্ছিল বিষপিপড়া, রাহেলা ছোট্ট ঘরটি ঐ গ্রামে তার অপেক্ষায় ছিল.....সেই রাহেলা যে তার তীব্র প্রানশক্তি দিয়ে বেচেঁ ছিল, যার তৃষ্ঞার্ত মুখে এসিড ঢেলে দিয়েছিল সেই পশুরা, তবু রাহেলা সব হিসেব নিকেশ অস্বীকার করেছিল ,রাহেলা আশা করেছিল যদি সে আর কিছুক্ষন বেচেঁ থাকে,তাহলে আমরা, এই সভ্যজগতের মানুষরা তাকে বাচিঁয়ে ফেলতে পারবো। রাহেলা আমাদের কাছে এসেছিল, আমরা তাকে বাচিঁয়ে রাখতে পারি নি ।আমরা রাহেলাকে ভুলে গেছি,সেই রাহেলাকে যে তার অপার জীবনীশক্তি দিয়ে কয়েকটি অন্ধকার রাত পেরিয়ে আমাদের কাছে এসেছিল। সে আমাদের হাত ধরেছিল ।আমরা সেই হাত ধরে রাখতে পারি নি ।আমাদের হাতের মুঠি আলগা করে রাহেলা চলে গেছে অন্যলোকে,আর আমরা হাত মুছে ফিরে গেছি নিজেদের যাপনে ।এ আমরা কী করেছি?হায়,এ আমরা কী করেছি ?আমাদের রক্তে যদি মানুষের কিছু থাকে,আমাদের শিক্ষা,আমাদের জীবনের আরো যতো সুখ দূ:খের গল্প যদি আমাদের একবারও স্মরণ করিয়ে দেয় ,আমরা মানুষ ,তাহলে আমরা কি রাহেলার জন্য কিছুই করবো না ?এতো বড়ো একটা পাপ করে কেউ যদি পার পেয়ে যায়,তবে ধিক এই বেচেঁ থাকা,ধিক এই দেশপ্রেম,ধিক নিজের সন্তানকে আগলে রাখা,প্রেমিকার ঠোটে চুম্বন ,ধিক আত্মতৃপ্তিতে বেচেঁ থেকে নিজেকে মানুষ বলে দাবী করা ।প্রিয় ভাই আমার,প্রিয় বোন আমার,এই লেখাটি যদি আপনি পড়ে থাকেন,দয়া করে চোখ বন্ধ করুন,দয়াকরে একবার রাহেলার সেই আকুতি মাখা মুখ স্মরণ করুন ,একবার কান পেতে শুনুন রাহেলা বিচার চাইছে আপনার কাছে,রাহেলা আপনার হাতটি আকঁড়ে ধরে বাচঁতে চাইছে ।রাহেলার সেই চোখকে ফিরিয়ে দিয়েন না।রাহেলার সেই হাতটিকে ফিরিয়ে দিয়েন না ।আয়রে ভাই,হাতে হাত রাখি আরেকবার ।আরেকবার দুই পয়সার মানুষরা যুথবদ্ধ হই ।আরেকবার নিজের কাছে প্রমান করি,মানুষ আছি ।কসম খোদার,এতো বড়ো অন্যায়কে আনচ্যালেঞ্জ যেতে দেব না ।বুক টানটান করে দাড়ারে ভাই,বুক টানটান করে দাড়া ।

===================================

মানবীর পোষ্ট...

সাংবাদিকদের লেখার মাধ্যমেই তিন বছর আগে ঘটনাটি আমরা সবাই জানতে পারি। আজ পুনরায় আপনাদের সহযোগীতার প্রয়োজন কিছু ঘৃণ্য নরপশুদের কাছ থেকে আরো কিছু নাম না জানা নারী শিশু রক্ষার জন্য...

রাহেলা- ২০০৪ সালে কুলাঙ্গার লিটন যার সাথে করে মানবতার ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট ও জঘণ্যতম বর্বরোচিত আচরন! শ্রমজীবি দরিদ্র মেয়েটির বেতনের টাকা ও গহনা ছিনিয়ে নেয়, ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে পাশবিক ভাবে ধর্ষন করে রাহেলাকে। সেখানেই ক্ষান্ত দেয়না নরপশুরা, নিজেদের অপকর্মের সাক্ষ্য মিটাতে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাহেলার শরীর। গলা কেটে দেয়, ছিন্ন ভিন্ন করে রাহেলার স্পাইনাল কর্ড! পচে মরার জন্য হতভাগিনীর ক্ষতবিক্ষত দেহটিকে ফেলে আসে ময়লা জঙ্গলে!

মানুষ রাগের মাথায় বা আতংকিত হয়ে অনেক সময় তাৎক্ষনিক ভাবে কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ভয়ংকর কাজ করে বসে, তবে কিছুক্ষণ পর অথবা কয়েক ঘন্টা পর সম্বিৎ ফিরে পেলে অনুতপ্ত হয়। এই কুলাঙ্গার ধর্ষকদের নীচতা ও পাশবিকতা এমন ভয়াবহ যে, দু'তিন দিন পর পরিত্যাক্ত দেহটির হাল জানতে গেলে যখন দেখে রাহেলা জীবিত এবং আকন্ঠ পিপাসার্ত হয়ে তাদের কাছে পানি চাইছে তৃষ্ণা মেটাতে.. এই নরপশুরা পানির পরিবর্তে এসিড ঢেলে দেয় তৃষ্ণার্ত মেয়েটির গলে পচে যাওয়া শরীরের উপর।।।।

আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত অগুনিত রাহেলার জন্ম হচ্ছে... প্রতদিন কোথাও না কোথাও কোন রাহেলা হচ্ছেন ধর্ষিতা, নিপীড়িতা। কোন বিচার নেই, নেই অপরাধীর সাজা। আর এই অভয়ের কারনেই এই ঘৃণ্য নরপশুরা হয়ে উঠে আরো বেপরোয়া। লক্ষ্যনীয় সেক্স অফেন্ডাররা কখনও একটি অপরাধ করে থেমে থাকেনা। সাজা পেলেও, পরবর্তীতে সুযোগ পেলেই হামলে পরে নতুন শিকারের উপর। আর, যদি বিনা সাজায় পার পেয়ে যায়, তাহলেতো কথাই নেই, তারা হয়ে উঠে নির্ভীক আর শেয়ালের মতো চতুর! সুনিপুন ভাবে সংঘটিত করে পরবর্তী অপরাধগুলো। অসহায় নারী শিশুরা মুখ বুজে সহ্য করে তাদের নির্যাতন, কখনও নিরুপায় হয়ে বেছে নেয় আত্মহননের পথ...

প্রধান আসামী লিটন পলাতক। আইনের একটি বড় ফোকর গলিয়ে লিটনের সহযোগী ধর্ষক আর হত্যাকারীরা আজ জামিনে মুক্ত!!!। ডেথ বেড স্টেটমেন্টে রাহেলা সহযোগীদের নাম বলতে পারেনি.... গ্যাংরেপের শিকার একটি মেয়ে, হত্যার উদ্দেশ্যে যার গলা কেটে দেয়া হয়েছে, ছিন্ন ভিন্ন করা হয়েছে কশেরুকা.. শুধু তাই নয় এসিডে দগ্ধ গলে পচে যাওয়া শরীর নিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরেছিলো কিছুদিন... স্টেটমেন্ট দিতে কতোটুকুই বা এক বারে বলতে পারে!!!!! তিনি ধীরে ধীরে তাঁর মা'র কাছে সবার নাম জানিয়েছিলেন... আর সব চেয়ে বড় কথা.. রাহেলা শরীরে বহন করেছিলেন এসব নরপশুদের আস্তিত্বের চিহ্ন!

আরেকটি সুত্র থেকে জানা যায়, "লিটনের সাথে রাহেলার শশুরের পারিবারিক পূর্ব শত্রুতা ছিলো! ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে লিটন রাহেলাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে.." তবে এই তথ্যের ভিত্তি বা বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নই!

"রাহেলা হত্যা মামলা" এখনও আদালতে চলছে, কিছুদিন পর এর শুনানি। সাংবাদিকদের কাছে বিনীত অনুরোধ.. আপনাদের কলমের খোঁচায় আবার তুলে ধরুন এই হতভাগিনীর কথা.. এই নরপশুদের কুকর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিন আমদের বিস্মৃত জাতিকে...আপনার কিছু সময় হয়তো সাহায্য করবে এই ঘৃণ্য নরপশুদের সাজা দিতে।

আগামী ২৯শে অক্টোবর, ২০০৭ কেসটি কোর্টে উঠবে সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য। ঢাকায় অবস্থিত 'আইন ও সালিশ কেন্দ্র' মামলাটি পরিচালনা করছে। প্রধান আসামী লিটন এখনও ধরা পড়েনি। লিটনের ৪ সহযোগী হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে...

সংবাদ পত্রে আবারো রাহেলার কথা তুলে ধরা হলে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হয়তো কিছুটা টনক নড়বে.. এতো সহজে লিটনের সঙ্গীরা, যারাও এই ধর্ষন আর হত্যার সাথে সমান ভাবে জড়িত তারা যেন ছাড়া না পায়...

অসহায়, দরিদ্র ঘরের কন্যা.. তাঁর পরিবারের অঢেল টাকা, পরিচিত, ক্ষমতা কিছুই নেই.. কালের স্রোতে হারিয়ে যায় এসব নির্যাতিতা হতভাগিনীদের কথা... পুরনো পত্রিকার পাতার খবর হয়েই থেকে যায়..এদের প্রতি করা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার তেমন কেউ নেই, এদের হয়ে লড়াই করার কেউ থাকেনা.. মূল্যহীন এদের জীবন, তার চেয়েও মূল্যহীন এঁদের মৃত্যু.. অথচ, আপনার আমার মতোই এরা বাংলাদেশী, আমাদের কারো চেয়ে এদের নাগরিক অধিকার এতোটুকু কম হবার কথা ছিলোনা...

রাহেলার সাথে করা পাশবিক আচরন সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলেন সমগ্র দেশের মানুষের কাছে.... আজ তাঁর উপর করা নির্মম নির্যাতনের ন্যায়বিচারের জন্য সাহায্য করুন প্লিজ!

আগামীকাল রাহেলার অবস্থানে যে কেউ হতে পারে.. আমি, আপনি, আপনাদের স্ত্রী, কন্যা, বোন, পরিচিতা...

সাংবাদিকদের প্রতি একান্ত অনুরোধ.. আপনারা আরেকবার এগিয়ে আসুন এই দুর্ভাগা, নির্যাতিতা, দরিদ্র মেয়েটির প্রতি করা অন্যায়ের ন্যায্য বিচারের সাহায্যে...

২০০৪ সালে প্রকাশিত ডেইলী ডেইলী স্টারের প্রতিবেদন

রাহেলা হত্যা মামলার বর্তমান অবস্থা জানতে 'ফয়সল নোই' এর অসাধারন প্রচেষ্টা




নেক্সট ইউক এ ঈদ। রাস্তাগুলো ঘড় মুখো মানুষের ভীড়। ছুটছে সব্বাই শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায়। কেউ ছুটছে গ্রামের বাড়িতে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করবে বলে। এখনো ঈদ শপিংএ যাইনি। যাব কি যাবনা ভাবছি। ইনডিসিশন নাকি মধ্যবিত্তের টানপোড়ন? আমার হয়তো কিছুই লাগবে না। ইতিমধ্যেই অনেক কিছু পাওয়া হয়ে গেছে। এখন শপিং এ যাওয়া অন্যদের জন্য। দায় শোধ। মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্ট। কাজিনগুলোর অপেক্ষা... ভাইয়া কি দিবে এবার? বড় মামা সবচাইতে দামি ড্রেসটা এখনো দিচ্ছেনা ক্যান?

আচ্ছা জরুরী অবস্থার মধ্যে ঈদটা এক বছর আটকে রাখা যায় না? মই নিউ তত্ত্বে এ বিষয়ে কি বলে? অথবা মই নুল এর কোন জামাতী বিবৃতি? দুই মই এর চিপায় পইরা আম জনতার পকেটের অবস্থা পাংখা। কিন্তু বাঙালীর বগল বাজানো বন্ধ হইতাছে না। দ্যাশের বড় একটা অংশ এখনো মনে করে জলপাই ভালো। যত্তোসব।

বাচ্চা গুলো ডিশ এর মধ্যে পানি নিয়ে খেলা করছে। পানি শেষ হয়ে গেলে আবার ভরে আনছে আবার খেলতেছে। হঠাৎ এর মধ্যে একটা বিষাক্ত শাপ চলে আসলেও সুবোধ বাচ্চাগুলোর কেউ বুঝতেছে না শাপটা আসলে কি করতে পারে।

এই বাচ্চাগুলো কবে বড় হবে? কেউ কি বলতে পারেন?


শরতের ক্ষয়ে যাওয়া মায়াবী চাঁদ... অভিভূত। অদ্ভুত সুন্দর। মধ্য গগনের চাঁদ.. রূপালী আলো... মায়াময় চারিদিক.. এতোটা স্নিগ্ধতা দিবসে কোথায় থাকে? নাকি নির্জনতার জন্য এমন মনে হচ্ছে? .. চারিদিকে সুনসান.. .. বারান্দায় পায়চারি করতে ভালোই লাগে। আরো একটা কারনে বারান্দায় .. সিগারেট। ঘড়ে বসে... উফ্ চারিদিকে বিড়ির গন্ধ... বিরক্তিকর।

চাঁদটার কি অনেক কষ্ট? ক্যামন যেন একা একা সমস্ত রাত্রিই ঘুরে বেড়ায়। এটা কি কস্টের? লিজার শেষ কথাটা মাথার মধ্যে সেই তখন থেকে ঘুরপাক খাচ্ছে। মুঠোফোনে মধ্যরাতের কথোপকথোনের এক পর্যায়ে ও বলেছিলো “তুমি কি জানো যে তুমি কতটা একা?” আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। সেই থেকে মাথার মধ্যে ঘুরতেই আছে। সত্যিইতো।

দিবসের ব্যাস্ততা শেষে ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে যখন বাসায় ঢুকি... সত্যি একধরনের একাকিত্বে পেয়ে বসে। বের হতে পারিনা কোনভাবেই। সময় পার হয়ে যায় দেখতে দেখতে। আমি শুধু আমার জায়গায় স্থির। ইদানিং আরো উপসর্গ লক্ষনীয়ভাবে যোগ দিয়েছে - কনফিউশন। পেয়ে বসছে আমাকে। কোন ভাবেই কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে পারিনা সহজেই। কি করাইবা উচিত? সিদ্ধান্তহীনতায় কুড়ে কুড়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে জীবন... সমাধান? অসম্ভব

জীবনতো কেটে যাচ্ছে। সময়ও বসে নেই। স্ট্যাগ হয়ে থাকা সময়গুলো কি আসলেই বসে নেই? আচ্ছা, আমরা সব্বাই কি একা নই? চারিপাশের এত্ত এত্ত মানুষ তাও আমরা কত্ত একা। ভাবনার জাল ছিন্ন হয় মুয়াজ্জিনের আহ্বানে “আচ্ছালাতু খাইরুম্মিনানাউম”। দীর্ঘ রজনীর অবসান। ব্যাস্ততামুখর আরো একটি দিনের হাতছানি। কর্ম চাঞ্চল্যের সুধায় বুদ হয়ে থাকা।

জোনাক জ্বেলে লক্ষ কোটি
রাতের কাছে চাদের চিঠি
নীল জোছনায় তুমি কোথায়

মন চায় মন শুধু যে তোমায়
দিন যায় দিন তোমারি আশায়
নীল জোছনায় তুমি কোথায়?

রাত নির্ঘূম লাগেনা ভালো
মন দুয়ারে জানালা খোল
নীল জোছনায় তুমি কোথায়