সূর্যটার কি বেড়াছেড়া অবস্থা আজ। শরীরের বিভিন্ন জায়গা উঁকি দিয়ে যাওয়া। ঠিক যেন দরিদ্র পীড়িত অষ্টাদশী। সকালে অফিসের আসার টাউন সার্ভিস বাসের টিকিট কাটার সময় দেখলাম সূর্যটার এই করুণ পরিণতি।

দিবসের শুরুটা ভালই ছিল। শীতের আমেজ কেটে গিয়ে একটা বসন্তের আগমনী। বাতাসে রোমান্সের গন্ধ। কিন্তু.. .. .. আকাশটার যে আজ কি হলো... বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের লাপাত্বা হয়ে যাওয়া। কুয়াশার পৌরুষ'এর কাছে সূয্যি কন্যার সমর্পণ। সঙ্গে কান্নার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়ে ঝরা। থেকে থেকে ডুকরে ওঠে হালকা বাতাস। উফফ্ ... আরেক প্রস্ত শীতের আগমনী।

আচ্ছা!! আকাশের কি আজ মন ভালো নেই? হয়তো পুরনো স্মৃতির হঠাৎ উঁকি। মনের মণিকোঠা লুকনো সিন্দুকটার ডালা খুলে পুরোনো চিঠির গন্ধ শুকা। আহা.. স্মৃতির গন্ধ... বুকের ভেতরটায় একটা শির শির করা অনুভূতি। মনে হয় যেন ঠাণ্ডা একটা স্রোত বয়ে গেল। কল্পনায় চোখের সামনেই তোমার উপস্থিতি। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা তোমার দিকে।

তোমার ছবিগুলো এখনো ক্যামন প্রাণবন্ত। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় এই তুমি আসলে সেই তুমি। মেলানো যায় না। মেলাতে পারি না। চোখ দুটো ক্যামন যেন ইদানীং বেয়ারা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। বার বার শুধু ঝাপসা হয়ে যায়। টুপ্পুস করে পরে যায় এক ফোটা গরম নোনা জল। লুকনোর আপ্রাণ চেষ্টা। গলাটা ক্যান বার বার বুজে আসে? ঢোক গিলতেও যেন কষ্ট হয়।

কখনো বিকেল হলে চোখ ভরে জল এসে যায়
টুকরো মেঘের দল পুরোনো সে রূপকথাজানে,
আয়নায় তোমাকে দেখি, তুমিও বড়িয়ে গেছ কত,
এখনও কি মনে পড়ে কখনো – সখনো?

আমার স্বপ্নগুলো কেন এমন স্বপ্ন হয়
এই মনটা কেন বারে বারে ভেঙ্গে যায়
আমার কবিতাগুলো প্রতি বারই ছন্দ হারায়
তোমার স্মৃতি গুলো প্রতি রাতে আমাকে কাঁদায়




[বি.দ্র.১টা কবিতা ও ১টা গান এর সহযোগীতা নেয়া হয়েছে]