একদিন টাকা দিয়ে কিনে নেবো পৃথিবীর সকল ভালোবাসা ।
তারপর ।


তারপর কোনো এক সুউচ্চ সবুজ পর্বতের উপর থেকে ফেলে দেবো তোমাদের সকল ভালোবাসা । যেনো পাশ দিয়ে বয়ে চলা গভীর গিরিখাদের উম্মত্ত স্রোতে সলিল সমাধি ঘটে এইসব প্রতারিত ভালোবাসাবাসির ।।


তখনকার ভালোবাসাহীন পৃথিবী নিশ্চয়ই আজকের এই মিথ্যে, স্বার্থপর, লোভী আর প্রতারিত ভালোবাসার পৃথিবীর তুলনায় ঢের ভালো হবে ।।


আজকের ভালোবাসা টাকায় বিকোয়, তাই টাকা দিয়েই কিনে নেবো তোমাদের সকল ভালোবাসা । জানি তাতে একটুকু লজ্জাও তোমরা পাবে না ।


তোমাদের সবকিছুই তোমাদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার । তাই টাকা দিয়েই একদিন কিনো নেবো তোমাদের সকল স্বার্থ ।


তারপর ।
তারপর স্বার্থহীন , নির্লোভ ভালোবাসাহীন এক পৃথিবীতে আমি নতুন করে গাঁথবো তোমাদের সকল প্রতারিত ভালোবাসার মালা ।।


সারা পৃথিবী প্রতারক হলেও
বলবো না তুমি প্রতারক
সত্যি সত্যি তুমি প্রতারক হলেও
ভাববো না তুমি প্রতারক
ভাববো এটা প্রতারিত ভালোবাসা,
প্রতারিত পৃথিবী ।।

ত্রাণ চাহিয়া পত্র

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও এর পরবর্তী ঘটনাবলী প্রত্যেকেরই জানা। নতুন করে তা বলা নি:প্রয়োজন। আক্রান্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এখন কেবলই বেঁচে থাকার হাহাকার। প্রলয় ঝড়যুদ্ধ উপক্ষো করে যারা জয়ী হয়েছে, ক্ষুধা দারিদ্র আর অসহায়তার কাছে তারা এখন পরাজিত। প্রতিমূহুর্তের এই মরে যাওয়ার চেয়ে সে রাতেই মরে যাওয়া বুঝিবা ভালো ছিলো।

এখনো মানুষগুলোর প্রাথমিক চাহিদা কেবল একবেলার খাবার, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই। আশার কথা যে সবাই সবধরনের চেষ্টা করছে। আমরা বন্ধুর পক্ষ থেকেও কিছুটা চেষ্টা করা গেছে (হা হা হা হা... লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির)।

মহামারী বা দূর্ভিক্ষাবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। তবে হবে যে না তা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা। এক দুইবেলা খাবার দিয়ে ওদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে কেবল, কিন্তু ওদের হাতে তুলে দিতে হবে বেঁচে থাকার অবলম্বন। সংগ্রামটা ওরা করতেই জানে, হাতিয়ারটুকু কেবল চায়।

আমরা বন্ধু উদ্যোগ নিয়েছে সেই হাতিয়ার কিছুটা হলেও যোগান দেওয়ার। আমাদের সীমিত সামর্থ্য। খুব বড় কিছু করার বা করতে চাওয়ার ধৃষ্ঠতা নেই। তবু যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করা। অন্তত গোটা কয়েক পরিবারকে যদি সাবলম্বী করে তোলার পথে তুলে দেওয়া যায়, মন্দ কি ?

আর এই উপদ্রুত অঞ্চলের মানুষদের সাবলম্বী করাটা সহজই। একটা মাছধরার নৌকা আর একটা জাল- এই হলেই তারা আবার পাড়ি দেবে উত্তাল সমূদ্র, ধরে ধরে আনবে চিকচিকে রুপোলী মাছ, ওরা আর ত্রাণ চাইবেনা। সত্য।

অথবা কাউকে একটা ছোট্ট দোকান করে দেওয়া, অথবা কাউকে একটা রিক্সা কিনে দেওয়া। তাতেই তাদের পুরো পরিবার বেঁচে বর্তে থাকবে।

আমরা বন্ধু বন্যার সময়ও এরকম উদ্যোগ নিয়েছিলো। এবারও নিলো। এবার প্রচেষ্টা আরো বেশি সংখ্যক পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। এতগুলো মানুষ আমরা, পারবোনা ?

নিশ্চয়ই পারবো...
আপনি আমি একটু ইচ্ছা করলেই কিছু টাকা এখানে দিয়ে দিতে পারি। যে যতটুকু পারি... তাই দিই।
ডিসেম্বরের কোনো একটা সময়ে আমরা বন্ধুর একটি দল যাবে দূর্গতাঞ্চলে... তার আগেই ফুলে ফেঁপে উঠুক এই ভান্ডার...