যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে সপ্তাহের প্রায় প্রতিটা দিন ব্যস্ততায় উইকএন্ডে মানে শুক্রবার মাসুম ভাই তার পুঁচকি প্রিয়ন্তি মামনিটার জন্য বরাদ্ধ রাখেন। দিবসের শুরুতেই প্রিয়ন্তির প্রথম কাজ বসে বসে ক্যালেন্ডারে দাগ কাটা। কবে আসবে শুক্রবার... বাবার কাছ থেকে তার জন্য বরাদ্ধকৃত সময়টুকুর সদ্ব্যবহার। বাবাকে নিয়ে ঘুর'তে বের হওয়া... প্রতিদিন রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে একবার বাবাকে জিজ্ঞাসা... "বাবা.. শুক্রবার আসতে তো আর ৬/৫/৪/৩/২/১ দিন বাকি... তাই না?"

এমনি এক শুক্রবার প্রিয়ন্তি কে নিয়ে মাসুম ভাই কোন এক সুনশান বিকেলে বৈকালীন বিনোদনের প্রয়াসে বিনোদিত হৈতে প্রিয়ন্তির বিনোদনের লক্ষ্যে বের হৈছেন। পুচকিটার পেছনে ছোটা ছুটি করেও বাবার কোন অবসাদ লক্ষণীয় নয়। পশ্চিমাকাশে সূর্যের প্রস্থানে অদ্যকার কার্যক্রমের সফল সমাপ্তিতে ঘড়ে ফেরার প্রত্যয়ে নিয়ে ঘোড়াঘুড়ি শেষে একটি সেতু পার হওয়ার নিমেত্তে বাবা কিছুটা সন্ত্রস্ত ভঙ্গিতে মেয়েকে বল্লো,

বাবা: মামনি, আমার হাতটা কি একটু ধরবে, যাতে তুমি নদীতে না পরে যাও?
মেয়ে বলল: না বাবা। তুমি বরং আমার হাতটা ধরো।
(বাবা কিছুটা তব্দা খাইয়া জানতে চাইল)
বাবা: মামনি, পার্থক্যটা কোথায়?
মেয়ে: বাবা, তুমি জাননা? একটা বিশাল পার্থক্য এখানে বিদ্যমান। এই, ধরো আমি তোমার হাত ধরলাম...
বাবা: উমম...
মেয়ে: “এই বুঝি তোমার হতটা ফশকে গেল” ধরনের একটা ভয় আমার মধ্যে কিন্তু পুরোটা সময় জুরেই থাকবে। কিন্তু তুমি যদি আমার হাত টা ধরো? দুনিয়ায় যা ইচ্ছা তাই ঘটুক না কেন... আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত বোধ করব।


লেখাটা আমার প্রিয় মানুষ শওকত হোসেন মাসুম ও তার মামনিটাকে নিয়ে...

লেখাটি
১৩ ই মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৪ এ সামহোয়ারইনব্লগ এ প্রকাশিত। লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/prottublog/28778777

0 Comments:

Post a Comment



বস্তাবন্দি

Powered By Blogger
Subscribe to Feed