কি যেন নাই.. .. ক্যামন যেন খালিখালি লাগতাছে.. .. ক্যান লাগে? যান্ত্রিক নির্ভরশীলতা?.. .. কেটে যাচ্ছে দিন, রাত.. (কিন্তু রক্ত বের হচ্ছেনা).. .. আহা কেউ খুজে পায় না.. .. কস্টে আছে আইজুদ্দিন.. ..বিচ্ছিন্ন .. .. জীবন থেকে? তা তো না.. .. তাইলে? কত শুভাকাঙ্খি.. বন্ধু, স্বজন, চেনা-অচেনা .. প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে.. হাসিতে-কান্নায়.. সুখে-অসুখে.. আহা তোমাদের শুনিনা কত্তদিন.. কত্ত কথা-কথি.. খুনোশুটি.. সকালে ঘুমথেকে জাগিয়ে তোলা থেকে সকল এপয়েন্টমেন্ট মনে করিয়ে দেয়া.. পিয়াজ.. মানে পি.এস... .. আহা কি এক শুন্যতা.. ভেতরটা মোচর দিয়ে ওঠে.. ক্যান এত্ত খালি খালি লাগে?

তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মন কষাকষি..
করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি
তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পরে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপ্টে লোকটা হতো না খরচে
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রং হয়ে যেত খয়েরি
অঞ্জন দত্তের এইগানটা খুব মনে পড়ছে

ছোট্ট এই পৃথিবীটা.. আমার হাতের মুঠোয়.. আর এখন? কেউ অফলাইন দেয় “ভালোবাসাকে তিল তিল করে বাচিয়ে রাখতে হয়, এত্তো রাগ ক্যান?”.. কেউ ‘চ’ বর্গীয় শব্দ উৎসর্গ করে আমার উদ্দেশ্য করে.. কেউ বলে ‘শালা ফকিন্নি’.. কেউ আবার অফিসে ক্রিং ক্রিং.. .. ‘পালাবে কোথায়’.. .. আর আমি? হা.. হা.. হা.. এই বেশ ভালো আছি.. নেট ওয়ার্কের বাইরে..

আসলে হঠাৎই মুঠোফোনটা বিদ্রোহ ঘোষনা কইরা বসলো। এর কোন মানে আছে? আমারটা খাইয়া আমার আদর সোহাগে লালিত পালিত বেটার আৎকা বিদ্রোহ.. .. কত্ত বড় সাহস!!! জরুরী অবস্থার এই সময়ে এত্ত সাহস পাইলো কই? কই আমি তো পারি না.. .. বুকের উপর জলপাই আমার গলাটা চাইপ্যা ধইরা আছে.. বন্ধ কইরা দিছে আমার কণ্ঠস্বর.. আমি হাসফাস করি.. .. একটু নিঃশ্বাসের জইন্যে.. .. আর এইদিকে শালার বাঙালি খুশিতে বগল বাজাইতাছে.. .. যত্তোসব

0 Comments:

Post a Comment



বস্তাবন্দি

Powered By Blogger
Subscribe to Feed