ব্যানসনটা এইবার ছাড়তেই হইবো। একটু কড়া কড়া লাগতাছে দিন কয়েক যাবৎ। বুকটায় মাঝে মাঝে চিন চিন কইরা ওঠে। এইটা আসলে কিসের আলামত বুঝতাছিনা। অনেক দিন হইয়া গেল এই ব্রাণ্ডটায়। বদলাইলে ক্যারম হয়? কিন্তু এরপর? ওই মানের তো আর কাউরে দেখতাছি না এই মুহুর্তে। ব্যানসন লাইট কয়দিন টাইনা দ্যাখা যাইতে পারে। এই দিকে অফিস কইয়া দিছে.. বিড়ি টানলে চাকরি থাকবোনা। কথাডা মনে হইলেই মেজাজ খিচরে যায়। যত্ত সব। রুটিরুজি দেইক্যা কিছু কইতেও পারিনা। অফিসের চৌহদ্দি ছাইড়া দুরে যাইয়া বিড়ি টাইন্যা আসি গজড় গজড় করতে করতে।

এইদিকে শালার বারটেন্ডার স্ক্র-ড্রাইভার থিকা দুরে আছে বহুত দিন হইয়া গেল। তার গার্ল ফ্রেন্ড এহন দ্যাশে। তারে দৌড় এর উপর রাখছে। দুষ্ট পোলাপাইন পাছে মুখ টিপে হাসে। ব্যাচারা। অফিস ... জিএফ ... বাসা ... কত্তকি... । মাঝে মাঝে খ্যাপতে খ্যাপতে আইয়া কইবো ‘বস... এইভাবে তো চলে না... আর কত? স্যাক্রিফাইস করতে করতে তো নিজেই স্যাক্রিফাইস হইয়া গ্যালাম’ আমি হাসি। পোলাপাইন। পিঠে হাতবুলাইয়া কজে মনোযোগী হইতে কই। আবার নতুন উদ্যোমে ডেটিং, নতুন উদ্যোমে ঝগড়া। হাহাহাহা

অফিসটার পেছনদিকটায় বিশাল একটা খেলার মাঠ। মহল্লার পোলাপাইন রেগুলার ক্রিকেট খ্যালে। জাতীয় দলে ডাক পাওনের আশার অবিরাম পরিশ্রম। মাঠটার ঠিক ওই পারেই ফাষ্টফুডের দোকানটা। এইটা আসলে একটা চা এর দোকান। আমি নাম দিছি আমাগো ফাষ্টফুড। এইখানে নিয়মিত চা খেতে আসি। ভিতরে বইসা একটা আয়েশ কইরা বিড়ি ধরাই। ইদানিং ফাউজিয়াও আমার সাথে যোগদিছে চা খাওয়ার লাইগ্যা। নিচ থেকে ১১:৩০তে ফোন করবো। ‘ভাইয়া নামেন। চা খাওয়ার সময় হইছে।’

আসলে যতনা আমারে চা খাওয়ানোর জন্য ডাকা তার চাইতে বেশি হইলো ওর বিএফরে একনজর দ্যাখা। বিএফ আবার সিসটেম ইঞ্জিনিয়ার। এই পোলাটা আমার খুউব ভক্ত। আমি চা খেতে নামলে ওরে লগে লইয়াই নামি। এই দুইটারো একি সমস্যা। সারাদিন ঝগড়া করবো। দুই পক্ষেরই বিস্তর নালিশ। ‘ও অমুক পোলার লগে কথা কইছে’ ‘এ অমুক মাইয়ারে এসএমএস করছে’। এক্কেবারে হুদা মিছা ঝগড়া।

ভালোই লাগে এই দুইজনের ঝগড়া দ্যাখতে। পিড়িত কিন্তু কম না। একজন আর একজনরে না দেইক্যা থাকতে পারে না। খুউব ভালো লাগে যখন দেখি ঝগড়া কইরা দুইজন দুইজনের চুল টানাটানি শুরু করছে। হাহাহাহা... দুইটাই পুরা পাগোল। হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হা... হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসে। ভালোবাসাটা আসলেই একটা পাগলামি.. তাই না? একটু হাসি ... একটু কান্না... একটু অভিমান... একটু খুনোসুটি... একটু ঝগড়া... আবার গলাগলি... ব্যাস্ততার কারনে না দেখার সময়টাতে দুজন দুজনকে প্রচণ্ড ভাবে মিস করা। পরবর্তী সময়ে আবার নতুন করে নিজেদের আবিস্কার। হৃদয়ের অনুভুতি চোখে জলধারায় প্রকাশ।

বাঁচবো যতদিন ততদিন আমি
মনে রেখ ভালোবেসে যাবো তোমাকে
বিশ্বাস করি আহা ভালোবাসা দামি
সেই ভালোবাসা তুমি দাও আমাকে
এই বুকে রেখেছি আমি তোমাকে
রেখেছি চোখের তারায়

মনটা খারাপ হইয়া গেল...

0 Comments:

Post a Comment



বস্তাবন্দি

Powered By Blogger
Subscribe to Feed