রিপোর্টটা এখনো শেষ হচ্ছে না। কখন যেন বস ডেকে বসে। একটু অস্বস্থিতে আছি। কিছু ব্রাঞ্চের রিপোর্ট সম্ভবত মিস হইসে। না হলে প্রায় ১০ কোটি টাকার সেভিংস কমলো কিভাবে? তিন হাজার এর উপরে ব্রাঞ্চ। কোনটা কোনটাতে যে প্রবলেম হলো খুজতো গিয়ে এই শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে বসেও ঘামছি। রুহায়নামা এসে উপস্থিত।

ভাইয়া একটু বসি?

কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে চোখটা না তুলেই বলি ’উমম’

ঃ কি খবর রুহাইনামা?

ঃ ভাইয়া... নিজের উপর ঘেন্যা ধরে গেছে। আমি চমকাই। রিভলভিং চেয়ারটাকে ওর মুখোমুখি করি। জিজ্ঞেস করি...

ঃ কাল রাতে কি খুউব ঝগড়া হয়েছে? চেহারার এই অবস্থা করেছো কেন?

ঃ ভাইয়া ও আমাকে কনটিনিউ ট্রেস করতেছে।

ঃ কিভাবে?

ঃ আমি কখন কোন এলাকায় থাকি সব ও ওর বন্ধুর মারফত জেনে যাচ্ছে। ব্যাপারটা আমার কাছে বিশ্রী লাগতেছে। ও আমাকে সন্দেহ করতেছে। আমি তো পুরা হতভম্ভ।

ঃ কিভাবে ট্রেস করছে? কাউকে কি তোমার পেছনে লাগিয়েছে?

ঃ হ্যা ভাইয়া। আপনি তো জানেন-ই যে আমি বাংলা লিংক ইউজ করি।

ঃ তো?

ঃ ওর এক বন্ধু আছে বাংলা লিংক এ... আমি কখন কোন টাওয়ার এর কাছা কাছি আছি সব ওকে জানিয়ে দিচ্ছে।

আমি আসলে কি জিজ্ঞেস করবো বুঝতেছিনা

ভাইয়া .. ও আমকে জিজ্ঞেস করেছে আমি ন্যাম ফ্লাট এ ক্যান গিয়েছি? ভাইয়া সত্যি আমি ন্যাম ফ্লাট এ যাইনি। আমি রাজা বাজার এর এই মাথায় সিঙ্গার এর শোর রুম এ গিয়েছিলাম একটা এসি দেখার জন্য। এইযে দেখেন ব্রোসিওর। কিন্তু ও বিশ্বাস করতেছে না। ভাইয়া এটা আমার প্রচণ্ড ইগোতে লাগছে। ওর সাথে আমার পক্ষে আর কনটিনিউ করা পসিবল না। ভাইয়া আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। উফফ্... আর পারা গেলনা এই দুইজনকে নিয়ে। দেখি দুইজনকে নিয়ে আবার বসতে হবে।

0 Comments:

Post a Comment



বস্তাবন্দি

Powered By Blogger
Subscribe to Feed