তারেক রহমান এখন জেল-এ। আরাফাত রহমানকে এ্যরেস্ট এখন সময়ের ব্যাপার। এরপর কে? খালেদা হাসিনাও কি এরেস্ট হবে? শোনা গিয়েছিলো দুই নেত্রীকে দেশের বাইরে পাঠানোর কথা। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে তা মনে হচ্ছেনা। ফখরুদ্দিনের আড়ালে আসলে কার্যত দেশ পরিচালনায় জলপাই রঙ। স্থবির ফকরুদ্দিন ও তার উপদেষ্টারা অস্বাভাবিক চাপের মধ্যে পরেছেন। ইতিমধ্যে ডিজিএফ তৈরী করছে 2টি দূর্নিতীবাজদের তালিকা। যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগোচরেই ঘটছে। আরো তালিকা তৈরীর প্রস্তুতি চলছে। অবস্থাদৃষ্টে প্রতিয়মান যে, গ্রেফতাকৃত দূর্নিতীবাজ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার সরকারের অগোচরেই ঘটেছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের পরিকল্পনার ঘোষনা আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। জলপাই রঙ'এর শীর্ষ ব্যক্তিরা এ পরিষদে থাকবেন। ইতিমধ্যে দূনর্ীতি দমন টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষনা করা হয়েছে। জলপাই রঙ এর তত্ত্বাবধানে জেলায় জেলায় এই কমিটি থাকবে। পর্দার আড়ালে থেকে দীর্ঘদিন দেশ শাষন করা যাবে না, ভেবেই হয়তো এই নিরাপত্তা পরিষদ গঠন করা হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত হলে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে খবরদারি করার আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা পাবে। এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থলাভিষিক্ত হবে বলেই প্রতিয়মান। তাছাড়া আরো একটি কারণ হতে পারে, বিএনপি সমর্থিতদের সম্ভাব্য আন্দোলন ঠেকানো। সেনাবাহিনী প্রধান লেজে মইন ইউ আহমেদ 2008 এর জুন এ অবসরে যাবেন। ধরে নেয়া যায় সেনাবাহিনী তার আগে ক্ষমতা ছাড়ছে না। টেস্ট কেস হিসেবে 2008 এর শেষে উপজেলা নির্বাচন হতে পারে। জাতীয় নির্বাচন হতে পারে 2009 এ। সেনাবাহিনীর নিরব অভু্যত্থান মানুষের মনে যে আশা জাগিয়েছিলো তা ধীরে ধীরে ম্রীয়মান। দূনর্ীতিতে নিমজ্জিত বিনপির এখন অস্তিত্ত্বের সংকটে ভুগছে। এমতাবস্থায় ড. ইউনুস নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষনা কি বিকল্প বিএনপি প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস? সেনাবাহিনীর সহায়তায় কি ইউনুস দলগঠন করবেন? সেটাই এখন দেখার বিষয়।

0 Comments:

Post a Comment



বস্তাবন্দি

Powered By Blogger
Subscribe to Feed